পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম
আজ আমরা আলোচনা করব পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এবং পেঁয়াজের রস চুলে দিলে কি হয় এ বিষয়ে।আমাদের কমিটির মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন করেন পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। বলে রাখা ভালো পেঁয়াজের রসের অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা চুল গজাতে সাহায্য করে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃপেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম
- পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম
- পেঁয়াজের রস সংরক্ষণের উপায়
- পেঁয়াজের রস দিয়ে চুলের যত্ন
- পেঁয়াজের রস ও লেবু
- শেষ কথা
পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম
খুশকি সমস্যার সমাধানের জন্য পেঁয়াজের রসের সাথে 5 ফোঁটা অলিভ যোগ করতে পারেন। এরপর এই মিশ্রণটি ভালোভাবে স্কাল্পে লাগাতে হবে এবং এক থেকে দেড় ঘন্টা পরে তা ভালোভাবে মেডিকেটেড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এটি সপ্তাহে 2 বার ব্যবহারে চুল মজবুত এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।এছাড়া এছাড়া পেঁয়াজের তেল এর সাথে যোগ করে শরীরে ব্যবহার করলে এটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের তবে সমস্যার সমাধান করে এবং খুশকি দূর করতে স্কাইপে বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কন্ডিশনিং করতে সহায়তা করে তোলে।
এটি ব্যবহারের জন্য প্রথমে 3 টেবিল-চামচ 1.5 টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসঙ্গে মেশাতে হবে এবং এটি মাথার স্কাল্পে রাখতে রেখে দিতে হবে ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে এটি মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল ঘন ও মজবুত চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে তোলে। এটি দুইঘন্টা রাখার পরে ভালোভাবে শ্যাম্পু করতে হবে এবং এরপরে কন্ডিশনার ইউজ করতে হবে। পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম হলো সপ্তাহে দুদিন।
পেঁয়াজের রস সংরক্ষণের উপায়
পেয়ার সংরক্ষণ করার জন্য শুষ্ক জায়গা আমাদের প্রয়োজন হবে। যেখানে আলো-বাতাস সব সময় যাওয়া আসা করে এবং বংশ জায়গা সে জায়গাতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা উত্তম। আলো বাতাস ছাড়া অন্ধকার স্থানে যদি পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা হয় তাহলে পচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাজারে পেঁয়াজ কেনার পর এবার সাথে আসার পর চটের বস্তা তে ছড়িয়ে রাখা উত্তম এতে পেঁয়াজের আদ্রতা বস্তায় শুষে নেয় এবং পেঁয়াজের আদ্রতা বজায় থাকে।
আরো ভালো হয় যদি ঝুড়ি বা রেখে এটি সংরক্ষণ করা যায়।গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য হল খিচুড়ি ভাতের সঙ্গে অনেকে পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করেন। এছাড়া নানা রকম ভর্তা বানাতে ও পেঁয়াজ অনেক দরকারি একটি ইনগ্রেডিয়েন্ট। বিভিন্ন খাবারের জন্য পেঁয়াজের আচার সংরক্ষণ করতে পারেন। ভিনেগার লবণ এবং মসলা দিয়ে পেঁয়াজ কুচি করে সংরক্ষন করতে পারেন আচার অনেকদিন পর্যন্ত। এছাড়া বর্তমান সময়ে কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। ফ্রিজে রাখলে এটি দুর্গন্ধ করে ফেলে এজন্য অনেকেই ফ্রিজে এটি রাখতে চান না।
আরো পড়ুনঃ ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল সম্পর্কে জেনে নিন
এছাড়া একবারে অনেক পেঁয়াজ কুচি করে করে করে কনটিনার এ করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন অনেকদিন পর্যন্ত। ফ্রিজের নরমালে রেখে দিলে এটি বেশি দিন টিকে থাকে না এবং এর মধ্যে ছত্রাক শুরু করে। এছাড়া দুই দিন যদি রাখতে চান তাহলে কুচি করা পেঁয়াজ যেকোনো বাটিতে রেখে তার মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে রাখতে পারেন। তবে এটি না করাই ভাল কারন এটি করলে অনেক সময় দেখা যায় যে ছত্রাক জমে যেতে পারে।
পেঁয়াজের রস দিয়ে চুলের যত্ন
আজ আমরা জানাবো পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এছাড়া অনেকেই জানতে চান চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম।চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়া যেতে পারে। শুধুমাত্র এটি চুল পড়া বন্ধ হয় চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। পেঁয়াজের রস চুলের ড্যামেজ খুশকি সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে। চুলের জন্য পেঁয়াজের রস তৈরি করার জন্য তিন চামচ পেঁয়াজের রস অলিভ অথবা কালিজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন।পেঁয়াজের তেল চুলের এবং স্ক্যাল্পের বিষাক্ত সাহায্য করে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং দ্রুত চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
এছাড়া চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করতে এটি বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।পেঁয়াজের তেলে রয়েছে বিশেষ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পেঁয়াজের রস ও লেবু
যাদের জন্য এই যেমনটি আমরা শেয়ার করছি সেটি হল যাদের মাথায় প্রচুর খুশকি এবং প্রচুর পরিমাণে পড়ে তাদের জন্য পেঁয়াজ ও লেবুর রস ব্যবহার করা উত্তম। লেবুর রস ও বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরিতে অবদান রাখে যা চুল মজবুত এবং ঘন করতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকের পিএইচ মান সমতা বজায় রাখতে লেবু কার্যকর ভূমিকা রাখে এটি একটি রিসার্চে প্রমাণিত হয়েছে।
পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম খুবই সোজা।এই রেমিডি টি তৈরি করতে সর্বপ্রথম আমাদের পেঁয়াজের রস এবং লেবুর রস ব্যবহার করতে হবে এই দুইটি মেয়ে একসাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে হবে।এরপর মেডিকেটেড শ্যাম্পু এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর ব্যবহার করতে হবে মেডিকেটেড শ্যাম্পু শেখার থাকে না এটি চুলের ক্ষতি করে না বরং চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।চুলকে উজ্জ্বল এবং শাইনি করতে এবং মজবুত করতে আলুর রস বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিঃশেষিত ভাবে অতীতে ভিটামিন b6 আয়রন জিংক এর চুলের জন্য উপকারী প্রভাব ফেলে বলে রিসার্চে দেখা গেছে এটি চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।এটি ব্যবহারের নিয়ম হলো এক টেবিল-চামচ আলুর রস এবং এক চামচ পেঁয়াজের রস একসাথে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে হবে 10 মিনিট যাবত্ এটি চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকবে। এক ঘন্টা আধা ঘন্টা রেখে দিতে হবে এটি ব্যবহারের পর এরপর মেডিকেটেড শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল করে নিতে পারেন। আপনারা মেডিকেটেড শ্যাম্পু ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন।
শেষ কথা
আপনারা যদি পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে।এছাড়া আপনার যদি পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।21030
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url